গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি দূর করার সহজ ঘরোয়া উপায়। How to reduce gastric problem

 


গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি দূর করার সহজ  ঘরোয়া উপায়। How to reduce gastric problem immediately


গ্যাস্ট্রিক হোক অথবা এসিডিটির মতো সমস্যা আজকাল খুবই স্বাভাবিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রোগের আক্রান্ত কারীর সংখ্যা মোটামুটি আমরা সকলেই বলা যায়। আজকাল এই রোগ যেমন করে আমাদের শরীরের খুবই common একটা রোগে পরিণত হয়েছে। ঠিক তেমনই, আজকের দুনিয়াতে  বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এই সমস্ত রোগের নানা রকম নামিদামি brand-এর ওষুধ বেরিয়েছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেরই অজানা যে, আমাদের চারপাশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে আমরা এই সমস্ত রোগ নিরাময় করতে পারি। প্রাকৃতিক জিনিসের সঠিক ব্যবহার যদি করা যায় তাহলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে আলাদাভাবে টাকা পয়সা খরচা করার কোনো প্রয়োজন যায় না। How to reduce gastric problem immediately



গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় কী?


আজ আমরা আপনাদের ঠিক সেরকমই কিছু প্রাকৃতিক উপাদান সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি।যার সাহায্যে আপনি এই গ্যাস্ট্রিক অথবা এসিডিটির রোগের চিকিৎসা নিজেই করতে পারবেন বিনা খরচায়।

আসুন জেনে নিন।


প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

১. লবঙ্গ
২. জিরে
৩. গুড়
৪. মাখন
৫. পুদিনা পাতা
৬. তুলসী পাতা
৭. আদা
৮. দুধ
৯. লেবু জল
১০.আইসক্রিম


কিভাবে ব্যবহার করবেন?


১. লবঙ্গ :-  গ্যাস্ট্রিক  অথবা এসিডিটি যদি আপনার পিছু না ছাড়ে, আপনি যদি গ্যাস্ট্রিক নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন, তাহলে লবঙ্গ  আপনার জন্য খুবই লাভজনক হতে পারে । এর জন্য আপনি যা করবেন ২-৩টি লবঙ্গ মুখে নিয়ে এমন ভাবে চিবাতে থাকুন, যেন রসটা আপনার ভেতরে প্রবেশ করে। দেখবেন এসিডিটি দূর হয়ে গেছে।



২. জিরে :-   ১
 চা চামচ জিরে নিয়ে  প্রথমে ভেজে ফেলুন। এবার এটিকে এমন ভাবে গুড়ো করুন যেন পাউডার না হয়ে যায়, একটু ভাঙা ভাঙা থাকে। এই গুড়াটি একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। দেখবেন কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।




৩. গুঁড় :-  গুঁড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে।  বুক জ্বালাপোড়া করার সাথে সাথে একটুকরো গুঁড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়।  আপনি যদি ডায়বেটিস রোগিদের মধ্যে একজন হন তাহলে এটি  আপনার জন্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।



৪. মাখন (Butter milk) :-  খাবারের আগে বা খাওয়ার সময় ঠাণ্ডা  মাখন (বাটার মিল্ক) পান পেটের গ্যাসের বিরুদ্ধে বহু পুরনো ঘরোয়া প্রতিকার। এটি গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটিকে নিরপেক্ষ করতে সহায়তা করে এবং জ্বালা এবং পেটের আস্তরণের ক্ষতি থেকে বাধা দেয়। এছাড়াও, এটি একটি প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভূত প্রোবায়োটিক পানীয় যা হজম প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে, গ্যাস তৈরিতে বাধা দেয় এবং ফোলাভাব থেকে মুক্তি দেয়। গ্যাস্ট্রিক সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা আরও বাড়ানোর জন্য আপনি মাখন (বাটারমিল্কে) এক চিমটি ভাজা জিরে গুঁড়ো এবং কালো লবণ যোগ করতে পারেন। এমনকি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু রোগীরাও সহজে হজম করতে পারে




৫. পুদিনা পাতা :-  পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।  আপনি যদি প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খান তাহলে এসিডিটি ও বদহজম -এর সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।




৬. তুলসী পাতা :-  তুলসী পাতার গুন সম্পর্কে কমবেশি আমাদের সকলেরই জানা। এসিডিটি দূর করতেও এর ভূমিকা অনন্য। যখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে ৫-৬ টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে দেখবেন এসিডিটি কমে গেছে। তুলসী পাতা যদি প্রতিদিন ব্লেন্ড করে জল দিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে এসিডিটি হওয়ার প্রবনতা অনেক কমে যাবে।




৭. আদা :-  আদাও এমন একটি ভেষজ উপাদান যা আমাদের অনেক কাজে লাগে। যখনই আপনি খাবার খাওয়ার জন্য মনস্থির করবেন । খাদ্য গ্রহণ করার ৩০-৪০ মিনিট আগে ছোট এক টুকরো আদা খেয়ে নেবেন দেখবেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা গায়েব হয়ে গেছে।




৮. লেবু জল :-  গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক উপশম পেতে লেবু জল বা লেবু চা খাওয়া একটি চমৎকার প্রতিকার। লেবু জলের স্বাদ এবং উপকারিতা বাড়ানোর জন্য আপনি লেবুর জল, এক চিমটি কালো লবণ, গুঁড়ো ভাজা জিরে এবং আজবায়ন যোগ করতে পারেন। এবং এর ফলে এই পানীয়টি পেটকে পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। এক গ্লাস লেবুর জলে এক চিমটি বেকিং সোডা যোগ করাও অ্যাসিডিটি কমাতে এবং হজমের উন্নতিতে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।




৯. দুধ :-  আমরা সবাই জানি যে দুধের মধ্যে  প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে , যা পাকস্থলীর এসিড কমাতে সাহায্য করে। প্রত্যেকদিন রাতে একগ্লাস দুধ ফ্রিজে রেখে দিয়ে পরদিন সকালে খালি পেটে সেই ঠান্ডা দুধটুকু খেলে সারাদিন এসিডিটি থেকে মুক্ত থাকা যাবে। তবে কারো পেট দুধের প্রতি অতিসংবেদনশীল, এদের ক্ষেত্রে দুধ খেলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে।




১০. আইসক্রিম :-  আইসক্রিম খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন  আইসক্রিম শুধুমাত্র আমাদের তৃপ্তিই যোগায় না, সাথে এসিডিটি দুর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেভায় ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ