কিসমিস কে রেখে দিন রোজকার রুটিনে, কোন রোগ আপনার ধারে কাছেও আসতে পারবে না।

কিসমিস কে রেখে দিন রোজকার রুটিনে কোন রোগ আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না।




কিসমিস কে রেখে দিন রোজকার রুটিনে রোগ আপনার ধারে কাছেও আসতে পারবে না। (The benefits of raisins)


কিশমিশ বা শুকনো আঙ্গুর আপনি যে নামেই এটিকে ডাকেন এটি এমন একটি অবাক করা খাদ্য যা আপনি চাইলে কাঁচা খেতে পারবেন, রান্না করে খেতে পারবেন, বিভিন্ন ক্যাটাগরির পায়েশে ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত আমরা কিসমিস বা শুকনো আঙ্গুর পায়েস এর মধ্যে দেখি বা পায়েসের মধ্যে খেতে বেশি পছন্দ করি। (The benefits of raisins)

কিশমিশ হলো ক্যালোরি এবং শর্করার আকারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, খনিজ এবং শক্তির একটি ভাল উৎস। এগুলি প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি , চিনি, এবং ক্যালোরিতে ভরপুর, কিন্তু আপনি কি জানেন এই কিসমিস বা শুকনো আঙ্গুর কে যদি পরিমিতভাবে খাওয়া যায় তাহলে এই কিসমিস বা শুকনো আঙ্গুর আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। কিশমিশ বা শুকনো আঙ্গুরে হজমে সাহায্য করতে পারে, আয়রনের মাত্রা বাড়াতে পারে এবং হাড় মজবুত রাখতে পারে। আজকে আমরা জানাবো কিসমিস বা শুকনো আঙ্গুর আরো কি কিভাবে আমাদেরকে সাহায্য করে আসুন জেনে নেওয়া যাক। (The benefits of raisins)


কিসমিস খাওয়ার নিয়ম :


১: লিভার :- প্রতিদিন কিসমিস ভেজানো জল পান করলে লিভার মজবুত থাকে। এটি metabolism এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।


২: কোলেস্টেরল :- কিসমিস ভেজানো জল নিয়মিত পান করলে কোলেস্টেরল Normal হয়ে যায়। এটি আপনার শরীরে থাকা triglycerides-এর মাত্রা কম করতে সাহায্য করে।


৩: ত্বকের আর্দ্রতা :- কিসমিস ভেজানো জলে প্রচুর পরিমাণে flavonoids antioxidant পাওয়া যায় ফলে ত্বকের মধ্যে আর্দ্রতা ভাবকে খুব তাড়াতাড়ি কম করতে সাহায্য করে।


৪: হজমের সমস্যা :- আপনার যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে হজম সমস্যা সমাধানের জন্য কিসমিস ভেজানো জল খুবই লাভজনক। এবং এটি নিয়মিত পান করলে পাচনতন্ত্র ঠিক থাকে।


৫: অ্যাসিডিটি ও দুর্বলতা :- প্রত্যেকদিন সকালে কিসমিস ভেজানো জল পান করলে অ্যাসিডিটি ও দুর্বলতা দূর হয়ে যায়। আপনি যদি এই প্রাণীটি প্রতিনিয়ত আবার করতে থাকেন তাহলে আপনার অ্যাসিডিটি ও দুর্বলতা ভাব নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে।

৬: হাড়ের সমস্যা :-  যাদের ক্যালসিয়াম কম আছে, কিসমিস তাদের হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য  খুবই উপকারী
কিশমিশে অল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে।



৭: ওজন বৃদ্ধি :-  কিছু গবেষণার মাধ্যমে দেখা যায় যে কিসমিস মানুষের ওজন কমাতে বা সঠিক পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে। কিসমিস প্রতি পরিবেশনে অনেক ক্যালোরি ধারণ করে, তাই অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এড়াতে তারা পরিমিত খাওয়া উচিত।



৮: পেটের সমস্যা :-  কিশমিশের ফাইবার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার সাথে যুক্ত। কিন্তু আমাদের খাবারে অত্যধিক ফাইবার গ্যাস, ফোলাভাব এবং ক্র্যাম্পের মতো হজম সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, এই পেটের রোগ জনিত সমস্যার সমাধানের জন্য কিসমিসের জল খুবই উপকারী ও লাভজনক।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ